
ফারুক আহমদ, উখিয়া ::
উখিয়ার সমুদ্র উপকূল জালিয়াপালং ইউনিয়নের চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার ও সিন্ডিকেট সদস্যরা বেপরোয়া গতিতে অবৈধ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলাবালি দিয়ে করোনা সংকটকালীন সময়ে ইয়াবার বড় বড় চালান পাচার করছে। বিশেষ করে করোনা ভাইরাস সংক্রামক প্রতিরোধে প্রশাসন যখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠিক এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে ইয়াবা কারবারিরা।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় মাদার বুনিয়া ছেপট খালি, মন খালি ছায়ানখালী, ইনানী, নিদানিয়া ডেইল পাড়া, সোনার পাড়া, সোনাইছড়ি ও জালিয়া পালংয়ে ছোট বড় অর্ধ শতাধিক ইয়াবা কারবারি রয়েছে। তন্মধ্যে ১০/১২ জন চিন্নিত গডফাদার পুরো ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।
অভিযোগে প্রকাশ জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাদার বুনিয়া গ্রামের কবির আহমদের পুত্র মনছুর আলমের নেতৃত্বে ইয়াবার কারবার রমরমা হয়ে উঠেছে। অদৃশ্য হাতের ইশারায় মনছুর অতি সম্প্রতি নতুন স্বরূপে ইয়াবার গডফাদার হিসাবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে। ইয়াবার চালান দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন স্বল্প সময়ে। প্রকাশ্য ইয়াবা কারবারে নেমে পড়লেও তিনি এখনো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজের অভিমত ইয়াবা গডফাদার মনসুর কেন আটক হচ্ছে না। তার খুটির জোর কোথায়।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ছেপটখালী গ্রামের মূছা মেম্বারের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ৪ জন পাচারকারীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, মেম্বর মূছা, সুমন চাকমা, আবুল বশর চৌকিদার ও মনজুর আলম চৌকিদার। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয় যার মামলা নম্বর ৮ তারিখ ১৬/৪/২০২০। উক্ত মামলায় পাচারকালে জব্দকৃত ইয়াবা চালান মাদারবুনিয়ার সেই সিন্ডিকেট সদস্য মনছুরের নিকট নিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশ মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইয়াবা গডফাদার মনছুরের নেতৃত্বে একটি বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে। একই এলাকার আব্দুল্লাহর পুত্র আব্দুল গফুর ও আব্দুল মনাফের পুত্র জাফর আলম তার অন্যতম সহযোগী। আর এই কাজে সীমান্ত এলাকায় সহযোগিতা করছে তারই ভগ্নিপতি পালংখালী ইউনিয়নের আনজুমান পাড়া গ্রামের জনৈক বাসিন্দা। সরাসরি মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান এনে মাদারবুনিয়ায় মজুদ রাখে। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে গাড়ি যোগে ঢাকা, চট্টগ্রামে পাচার করে।
এ ব্যয়পারে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহা জানান সরকার ইয়াবা নির্মলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। ইনানীর সমুদ্র উপকূলে চিহ্নিত বহু ইয়াবা কারবারিদের কে ইতিমধ্যে গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে । বর্তমানে ইয়াবা পাচার বন্ধ ও কারবারিদের কে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
সুশীল সমাজের দাবি ইয়াবা গডফাদার মনসুর সহ অন্যান্য সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হলে অনেক রাঘব বোয়ালের নাম-ধাম পাওয়া যাবে।
পাঠকের মতামত